ড্রেস কোড ! কোথায়, কেমন?

ড্রেস কোড ! কোথায়, কেমন?

  

ড্রেস কোড ! কোথায়, কেমন?

ড্রেস কোড ! কোথায়, কেমন?

ক্যাজুয়াল ড্রেস কি

পোশাক আমাদের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের একটি অন্যতম মাধ্যম। আমরা যখন কারো সাথে প্রথমবার দেখা করি, প্রথমেই যে জিনিসটি দৃষ্টিগোচর হয়, তা হলো আমাদের পোশাক। তাই, সঠিকভাবে পোশাক নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। স্থান এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী পোশাক নির্বাচন করা জরুরি। আসুন, জেনে নেওয়া যাক ইন্টারভিউ, ক্লাস, প্রেজেন্টেশন, সেমিনার বা অফিস পার্টির জন্য কেমন পোশাক বেছে নেবেন।

১. ইন্টারভিউ

চাকরির ইন্টারভিউ অনেকের জন্যই চাপের বিষয় হতে পারে। ইন্টারভিউয়ের জন্য ভালো প্রস্তুতি নিলেও, অনেকেই পোশাক নিয়ে দ্বিধায় ভুগে থাকেন। ইন্টারভিউতে ফরমাল পোশাক পরা উচিত। জিন্স, টি-শার্ট, ফতুয়া, বা বড় ঘেরের গোল ড্রেস এড়িয়ে চলুন। সালোয়ার কামিজ, সুতির শাড়ি বা লম্বা কামিজের সাথে লেগিন্স হতে পারে আদর্শ পোশাক। খুব বেশি উজ্জ্বল রং যেমন লাল বা কমলা পরা থেকে বিরত থাকুন। কালো, ধূসর, সাদা, নীল বা বাদামি রঙের পোশাক বেছে নিতে পারেন। পোশাকের সাথে মানানসই আনুষঙ্গিক উপকরণ যেমন ঘড়ি, সাধারণ কানের দুল বা হালকা গলার চেইন পরুন। চুল পরিপাটি ও গোছানো রাখুন, আর জুতা হিসেবে ফ্ল্যাট স্যান্ডেল বা সাধারণ সু বেছে নিন।

২. ক্লাস

বিশ্ববিদ্যালয়ের মেয়েদের জন্য আরামদায়ক এবং সহজে পরিধানযোগ্য পোশাক নির্বাচন করা গুরুত্বপূর্ণ। সুতির সালোয়ার কামিজ, ফতুয়া, জিন্স, কিংবা লং কামিজের সাথে লেগিংস হতে পারে আরামদায়ক ও উপযুক্ত। প্যাটার্ন বা কাটে বৈচিত্র্যপূর্ণ পোশাক আপনার ব্যক্তিত্বকে ফুটিয়ে তুলবে। জিন্স এবং বিভিন্ন ডিজাইনের টপও পরতে পারেন। রঙের ক্ষেত্রে মেরুন, সবুজ, সাদা বা উজ্জ্বল রঙের পোশাক বেছে নিতে পারেন।

৩. প্রেজেন্টেশন

প্রেজেন্টেশনে ফরমাল পোশাক পরাটা গুরুত্বপূর্ণ। খুব বেশি ফ্যাশনেবল পোশাক এড়িয়ে চলুন। সাধারণ এবং মার্জিত পোশাক পরুন, যেমন লং কামিজ, সালোয়ার কামিজ, বা হালকা কাজ করা ড্রেস। আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তোলে এমন পোশাক বেছে নিন, তবে খুব আঁটসাঁট বা স্লিভলেস পোশাক এড়িয়ে চলুন।

৪. সেমিনার

সেমিনারের জন্য সুতির শাড়ি, জামদানি, সিল্ক বা তাঁতের শাড়ি বেছে নিতে পারেন। উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরতে পারেন, তবে খুব ভারী কিছু না পরাই ভালো। সেমি-ক্যাজুয়াল লুক রাখতে পারেন, সাথে মানানসই গহনা, ব্যাগ এবং জুতা পরুন।

৫. অফিস পার্টি

অফিস পার্টির জন্য খুব ফরমাল বা খুব ক্যাজুয়াল না হয়ে মাঝামাঝি পোশাক বেছে নিন। আপনি জামদানি শাড়ি, সিল্ক শাড়ি, বা সালোয়ার কামিজ পরতে পারেন। শাড়ি যদি জমকালো হয়, ব্লাউজটি হালকা কাজের হতে পারে। পালাজ্জো বা ন্যারো প্যান্টের সাথে কামিজ পরেও ভিন্নতা আনতে পারেন। ফরমাল কিন্তু নান্দনিক লুক বজায় রাখুন, হালকা গহনা, মানানসই ব্যাগ এবং জুতা পরুন।

রুচিশীল পোশাক আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে তুলবে। পোশাক নির্বাচনের আগে সবসময় খেয়াল রাখুন আপনি কোথায় এবং কীভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে চান।

Post a Comment

0 Comments